ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল-বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল

চোখের চিকিৎসার জন্য ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে  বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল অথবা ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল কোনটি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল-বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল

সূচিপত্রঃ- ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল-বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল


আমরা ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল কোনগুলো, বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলো কোথায় অবস্থিত, যোগাযোগের মাধ্যম, সিরিয়াল নেয়ার পদ্ধতি, মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা সহ সবকিছু আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন অবহেলা বা কার্পণ্য করা উচিত হবে না। আমরা চোখ সম্পর্কে খুব একটা সচেতন নই। এই সচেতনতার অভাবে আমাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যেমন- গ্লুকোমা, রেটিনার সমস্যা, কর্নিয়া আলসার, শিশু রোগে ইত্যাদি। মানুষের চোখের দৃষ্টি সমস্যায় একটি সাধারণ ব্যাপার। কারো দীর্ঘ দৃষ্টি সমস্যা আবার কারো ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা রয়েছে। চোখের যে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই ভালো মানের এবং নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র প্রয়োজন। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই ভালো ডাক্তার এবং হসপিটালের সন্ধান রাখা উচিত।

চোখের চিকিৎসায়  আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

বিজ্ঞানের আশীর্বাদে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত হয়েছে। প্রতিনিয়তই চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ছে। এ সকল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খুব দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। চোখের চিকিৎসাতেও নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং যন্ত্রের উদ্ভাবন ঘটেছে। সম্প্রতি চক্ষু চিকিৎসায় যে যন্ত্রটি যুক্ত হয়েছে তার নাম হলো ‘ভিজ্যুম্যাক্স-৮০০’।

‘জায়েস’ এবং ‘বাংলাদেশ আই হসপিটাল’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপটিকস ও অপটোইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি নিয়ে কাজ করে। সম্প্রতি ‘জায়েস’ এবং ‘বাংলাদেশ আই হসপিটাল’ এর যৌথ উদ্যোগে ‘অপথালমিক কনক্লেভ ২০২৩’ আয়োজন শেষ হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে লেজার প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে ‘ভিজ্যুম্যাক্স-৮০০’ একটি যুগান্তকারী ফেমটোসেকেন্ড লেজার প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে চোখের বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব এবং নিরাপদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সে রোগের চিকিৎসা দিতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ আই হাসপাতালের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চক্ষু সার্জনরা চোখের লেসিক এবং স্মাইলের মত কর্নিয়াল রিফ্র্যাকটিভ সার্জারিগুলো অত্যন্ত নিখুঁত, সহজভাবে এবং নির্ভরতার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যেই সার্জারি সম্পন্ন করতে পারবেন। রোগীদের স্বাচ্ছন্দ, দ্রুত রোগমুক্তি লাভ এবং দৃষ্টির সচ্ছলতা দ্রুত পাওয়ার জন্য এই যন্ত্রটি রোগীদের জন্য খুব ফলপ্রসু হবে এবং রোগীদের দৃষ্টি সচ্ছলতা নিশ্চিত করবে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘ভিজ্যুম্যাক্স-৮০০’ এর সঙ্গে সার্জিক্যাল মাইক্রোস্কোপ কোয়াটেরা-৭০০ সংযুক্ত রয়েছে। এবং এই যন্ত্রটি অন্যান্য বিভিন্ন কার্যকারিতা এবং মানসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আধুনিক সার্জারিতে বিভিন্ন রকমের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে। একজন চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, স্থানীয় অপারেশনের ক্ষেত্রে পূর্বে যে প্রযুক্তিগুলো ব্যবহৃত হতো সেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতেন। তবে বর্তমানে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ফলে সেরকম কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না বলে তারা আশাবাদী।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল

বাংলাদেশের চোখের চিকিৎসার জন্য কম বেশি প্রতিটি জেলাতেই চক্ষু হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এ সকল হাসপাতালগুলোতে চোখের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে চোখের জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে সাধারণত জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে চক্ষু হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকে না। 

কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল বা ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলো কোথায় অবস্থিত। এবং কিভাবে এ সকল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গাতে কম বেশি চোখের রোগী রয়েছে। তবে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের রোগীরা ভালো চিকিৎসার জন্য ডাক্তার খুঁজে পান না। কিংবা তারা জানেন না চোখের চিকিৎসার জন্য ভালো হসপিটাল কোথায় এবং কিভাবে সফল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। ফলে তারা গ্রামাঞ্চলের হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চোখের চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেন।

যার ফলে অনেক সময় অনেক রোগী উন্নত চিকিৎসার হবে চিরকালের জন্য চোখ হারান। এমন একটি সম্পদ যা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই উন্নত চিকিৎসা এবং নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্রের খবর রাখতে হবে। বাংলাদেশের একমাত্র সরকার কর্তৃক পরিচালিত চক্ষু চিকিৎসার হসপিটাল হল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। তবে বেসরকারিভাবেও অনেক ভালো, মানসম্মত এবং নির্ভরযোগ্য চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে। নিম্নে ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল-বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলো সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হলো।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক পরিচালিত অনেকগুলো জনকল্যাণমূলক অলাভজনক গণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে চক্ষু চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি সরকার কর্তৃক পরিচালিত হসপিটাল। এই হাসপাতালে যে কোন বয়সের ব্যক্তি চোখের চিকিৎসার জন্য এবং পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই হসপিটালটি সরকারি পর্যায়ে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে চক্ষু পরিচর্যা ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিচিত।

একদল যোগ্য, স্মার্ট, উদ্যমী, উৎসাহী, উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ চক্ষুবিদদের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির সফল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এবং তাদের কর্মদক্ষতার ওপর এই ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা নির্ভর করে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই চক্ষু হাসপাতালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানসম্মত সর্বাধুনিক চিকিৎসা অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক রয়েছে। সম্পূর্ণ হাসপাতালটি  ব্লক এ, বি ও সি এই তিনটি ভবনে বিভক্ত। এবং এই তিনটি ভবনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই হাসপাতালের নিচতলায় রয়েছে জরুরী বিভাগ এবং আই সি ইউ, ব্লাড ব্যাংক এবং অপারেশন থিয়েটার রয়েছে বি ব্লকের চতুর্থ তলায়।

হাসপাতালের লক্ষ্য

এই হাসপাতালের একমাত্র লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য বিনামূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্ষু সেবা প্রদান করা। এছাড়াও চক্ষুসেবা সম্প্রসারণ এর জন্য একটি মানদন্ড স্থাপন করা। রোগীদের সন্তুষ্টির জন্য সর্বোচ্চ ভাবে আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা প্রদান, প্রশিক্ষণ, রোগীদের রোগের পর্যবেক্ষণ এবং হাসপাতালের সকল সেবা দানকারীর জন্য স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা।

শিক্ষাকার্যক্রম

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃক সরকারি পর্যায়ে সারাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত চক্ষু সেবা প্রদানের পাশাপাশি যথাযথ দক্ষ দক্ষতা সম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য চক্ষু রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নতির জন্য বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থেকে প্রতিদিনই চোখের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগীরা ঢাকা শহরে চিকিৎসার জন্য আসেন। বাংলাদেশের সরকারি চক্ষু হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারিভাবে অনেক চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে। যে হাসপাতালগুলো রোগীদের সঠিক চিকিৎসা এবং সেবার নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। এ পর্যায়ে আমরা ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আপনি চাইলে আপনার চোখের সমস্যার জন্য এ সকল হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে পারেন।

ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল

ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অন্যতম। এই হাসপাতালটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সফলভাবে চোখের বিভিন্ন সমস্যা চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। এ হসপিটালে প্রধান লক্ষ্য হলো স্বল্প ব্যয়ে উন্নত মানের চক্ষু সেবা সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া সকল স্তরের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের উন্নত চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেয়া। এই হাসপাতালটি রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত।

ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের সকল চিকিৎসা প্রদান করা হয়। যেমন-চোখের গ্লুকোমা, রেটিনা, কর্নিয়া, লোভিশন, শিশু রোগ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা চিকিৎসা দেয়া হয় এই হসপিটালে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল একটি বেসরকারি হসপিটাল। আমরা জানি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। তবে এই হসপিটালটির বেসরকারি হলেও অন্যান্য বেসরকারি হসপিটালে তুলনায় এই হসপিটালে চিকিৎসা খরচ কম।
ঠিকানা: শেরে বাংলা নগর, ফার্মগেট, খামার বাড়ি রোড, ঢাকা-১২১৫

বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতাল ধানমন্ডি

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল অর্থাৎ ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতাল একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। এ হাসপাতালেও চোখের সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ঠিকানা- ৭৮, সাতমসজিদ রোড (রোড#27), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫ 
হটলাইন- ১০৬২০।
মোবাইল- (+88) 09666787878, 01916629999, 01755660041, 02-9102264
ইমেইল-  behospital@yahoo.com, info@bdeyehospital.com । 
প্রয়োজনে আপনি তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অফথালমোলজি

ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অফথালমোলজি একটি বিশ্বমানের চক্ষু হাসপাতাল। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এই হাসপাতালটি ১৯৭৮ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই চক্ষু হাসপাতালে রোগীদের জন্য উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। এই হসপিটালে সর্ব খরচের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বহির্ভাগের ব্যবস্থা রয়েছে।
ঠিকানা: জাতীয় ট্রমাটোলজি ইনস্টিটিউটের বিপরীতে, সৈয়দ মাহবুব, সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, ঢাকা-১২০৭

হারুন চক্ষু ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

১৯৯৪ সালে রোগীদের চোখের যত্ন পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হসপিটালটি বাংলাদেশের প্রথম সুসজ্জিত বেসরকারি চক্ষু হসপিটাল। এই হাসপাতালের চক্ষু বিদ্যা বিভাগ কতগুলো চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত। এবং এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রোগীদের চক্ষু সেবা প্রদান করে থাকেন। দ্রুত ও সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং নিশ্চিত চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্যে অকুলার ডায়াগনস্টিক বিভাগ সংযুক্ত করার মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সম্পন্ন সজ্জিত করা হয়।
ঠিকানা: বাড়ি: ১২/এ, রোড নং-৫, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৫

গ্রিন আই হাসপাতাল

ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে গ্রীন আই হাসপাতাল একটি নতুন চক্ষু হাসপাতাল। এ হাসপাতালটি ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করে। তবে এই হাসপাতালটি খুব দ্রুত বাংলাদেশের অন্যান্য বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালগুলোর মধ্যে সেরা চক্ষু হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। জরুরি অবস্থায় রোগীদের ক্ষেত্রে এ হাসপাতালে দশটি শয্যা রয়েছে। এবংউচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন চক্ষু পরামর্শদাতা রয়েছেন। গ্রীন আই হাসপাতালে চক্ষু রোগীদের বিভিন্ন ধরনের চোখের পরীক্ষা, পরামর্শ এবং অস্ত্রপচার সহ বিভিন্ন ধরনের চোখের সেবা প্রদান করা হয়। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুসজ্জিত গ্রিনায় হাসপাতাল সন্তোষজনক চোখের যত্ন এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করে।
ঠিকানা: ৩য় তলা, রূপায়ন খান প্লাজা, রডি নং ৭, ঢাকা-১২০৫

হিকমাহ চক্ষু হাসপাতাল

অন্যান্য সকল চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে হিকমা চক্ষু হাসপাতাল একটি নেতৃত্বস্থানীয় চক্ষু হাসপাতাল। এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ চিকিৎসক দ্বারা চোখের বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই হাসপাতালের একটি ভালো রেফারের সিস্টেম রয়েছে যার মাধ্যমে রোগীদের প্রয়োজনীয় চোখের ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
ঠিকানা: সি-২৮৭/১৫, অতীশ দীপঙ্কর রোড, খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট হল চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে  একটি অলাভজনক তৃতীয় চক্ষু হাসপাতাল। এই হাসপাতালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে চোখের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা প্রদান করা। খুব সামান্য খরচে এই হসপিটালে চোখের প্রচলিত সকল রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ের ব্যবস্থা প্রদান করা হয়। এছাড়াও এই হসপিটালে অল্প খরচে উচ্চ ভলিয়ম ছানি সার্জারির প্রোগ্রাম অফার করা হয়।

এই হাসপাতালের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এরা অতি দরিদ্রদেরকে টার্গেট করে এবং তাদেরকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান করে। এই হাসপাতালের সকল সুবিধা গুলো সম্পন্নরূপে অত্যাধুনিক, আধুনিক যন্ত্রে সজ্জিত ডায়াগনস্টিক এবং চিকিৎসা প্রযুক্তি রয়েছে। এছাড়াও এই হাসপাতালে বিভিন্ন গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে চিকিৎসার ক্ষেত্র উন্নত করার চেষ্টা করা হয়।
ঠিকানা: ৪৭৪ (এ&ডি), রোড # ৫, ব্লক # ডি, বসুন্ধরা আর/এ, ঢাকা-১২২৯

মক্কা চক্ষু হাসপাতাল

চক্ষু রোগীদের চোখের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে মক্কা চক্ষু হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে ঢাকার চক্ষু রোগীদের কাছে এই হাসপাতালটি একটি জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এ হাসপাতালের মানবিক অবস্থান এবং অন্ধত্ব নির্মূল করার প্রতিশ্রুতিটি খ্যাতি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার বাইরে এই হাসপাতালের আরো তিনটি শাখা রয়েছে। এবং এটি সম্ভব হয়েছে মক্কা চক্ষু হাসপাতালের দক্ষতা, কর্মী সদস্যদের একনিষ্ঠতা এবং অন্ধত্ব নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মসূচির কারণে। মক্কা চক্ষু হাসপাতাল টি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার কারণ হলো এই হাসপাতালের উচ্চমানের চোখের চিকিৎসা প্রদান।
ঠিকানা: প্লট নং-৬, আরডি নং-৩, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

আল নূর চক্ষু হাসপাতাল

চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আল নূর চক্ষু হাসপাতাল চোখের চিকিৎসার জন্য সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত গন্তব্য হতে পারে। এই হাসপাতালের উদ্দেশ্য হল চক্ষু রোগীদের নিরাপদ এবং উচ্চমানের সেবা প্রদান করা। এই হাসপাতালটি চোখের রোগের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চোখের যত্ন সম্পর্কে রোগীদের এবং সমাজের শিক্ষিত মানুষদেরকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন।
ঠিকানা: ১, ৯ সাতমসজিদ রোড, ঢাকা-১২০৭

লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল একটি সর্বজন স্বীকৃত এবং পরিচিত নাম। লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি বহু বছর ধরে উচ্চমানের সেবা প্রদান করে আসছে। লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি অলাপ জনক সংস্থা অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এবং পৃথিবী থেকে অন্ধত্ব নির্মূলের জন্য এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে। কম খরচে ভালো চিকিৎসা পাওয়ার জন্য এই হাসপাতালটি সবার কাছে পরিচিত।

সাধারণ পরিদর্শনের জন্য প্রাথমিকভাবে এই হসপিটালে মাত্র ১০০ টাকা প্রয়োজন হয়। এবং ২০০ থেকে ৪০০ টাকা ডাক্তার ফি প্রদানের মাধ্যমে সিনিয়র ডাক্তারের সাথে চোখ নিয়ে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ গ্রহণ করা যায়। এই হাসপাতালটি সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সেবা প্রদান করে। রবিবারে সকল সেবা বন্ধ থাকে।
ঠিকানা: লায়ন্স ভবন, বেগম রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭

ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতাল

ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোর মধ্যে ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতাল একটি যুগান্তকারী নাম। এই হাসপাতালটি দুর্দান্ত পরিশেবা প্রদান করে থাকে। এই হাসপাতালের সকল কর্মীরা বন্ধুত্বপূর্ণ। এই হাসপাতালে ডাক্তাররা বেশ অভিজ্ঞ। অত্যাধুনিক সব যন্ত্রের সুসজ্জিত ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতাল। চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই হাসপাতালের দক্ষ ডাক্তারদের ওপর আপনি সহজেই বিশ্বাস রাখতে পারেন। এই হাসপাতালটি সব সময় রোগীর সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তার প্রতি অগ্রাধিকার প্রদান করে। সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে সরাসরি ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য 01787681500, 01787681501 বা 09666757677 নম্বরে যোগাযোগ করুন।
ঠিকানা: ৩২ রবীন্দ্র সরণি, সেক্টর – ৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। চোখ হলো মানুষের সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই চোখের সমস্যার জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বদা ভালো হসপিটাল এ যাওয়া উচিত। তাই আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলোতে কিভাবে ডাক্তার দেখাতে পারেন, হাসপাতালগুলোর অবস্থান কোথায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি ঢাকার সবচেয়ে ভালো চক্ষু হাসপাতাল গুলো খুজে পেতে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদেরকে সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

T Time Trend এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url