গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস
আপনি কি এসি কিনতে পারছেন না? গরমে অতিষ্ট হয়ে গেছেন? এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখতে চান? তাহলে নড়েচড়ে বসুন। কেননা এই লেখাটিতে আপনি পেতে চলেছেন আপনার কাঙ্ক্ষিত সমাধান। এসি ব্যবহার না করে কিছু টিপস মেনে ঘর ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘর ঠান্ডা রাখার এই টিপসগুলো কার্যকর এবং পরিবেশ বান্ধব।
সময় বুঝে জানালা খোলা এবং বন্ধ রাখা
প্রাকৃতিক আলো ঘরের জন্য জরুরি হলেও গরমকালে সূর্যের আলো ঘরের ভেতর প্রবেশ করলে ঘর গরম হয়ে ওঠে। তাই দিনের বেলায় যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকে ততক্ষণ জানালা বন্ধ রাখাই ভালো। বিশেষ করে পশ্চিম ও উত্তরমুখী জানাগুলো বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। কেননা এই জানালা দিয়ে সূর্যের আলো বেশি প্রবেশ করে। জানালাগুলোতে হালকা রঙের মোটা সুতির পর্দা ব্যবহার করুন। পর্দাগুলোর পূরুত্ব এমন হলে ভালো হয় যেন পর্দা টেনে দিলে ঘর অন্ধকার হয়।
পর্দার যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে অর্থাৎ পর্দার বাইরের অংশের উপর দিয়ে সাদা কাপড় সেলাই করা থাকলে ভালো হয়। এতে সূর্যের আলো সাদা কাপড়ের উপরে পড়ে প্রতিফলিত হয়ে বাইরের দিকে চলে যাবে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। পর্দার উপর ঠান্ডা পানি স্প্রে করে অথবা ভেজা চাদর ঝুলিয়ে দিলে পানি বাষ্পীভূত হয়ে ঘর কিছুটা শীতল থাকবে। সম্ভব হলে পর্দাছাড়াও জানালাগুলো পানিতে ধুয়ে নিতে পারেন। সূর্যের আলো যতক্ষণ পর্যন্ত প্রখর থাকে ঠিক ততক্ষণই জানালা দরজা বন্ধ রাখুন। সূর্যের আলোর প্রখরতা কমে গেলে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হতে শুরু করে। তখন পর্দা সরিয়ে ঘরের দরজা জানালাগুলো খুলে দিতে পারেন। এতে বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে ঘরকে শীতল করে তুলবে।
বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার পর ঘরের ভেতরের গরম বাতাস বের করে দেয়ার জন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। পদ্ধতিটি হলো ঘরের এক পাশের জানালা খুলে আরেক পাশের জানালার বাইরের দিকে মুখ করে ফ্যান বসিয়ে দিন। এতে গরম বাতাস বাইরে বেরিয়ে যাবে। এ পদ্ধতিতে ঘর খুব দ্রুত ঠান্ডা হয়। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ক্রস ভেন্টিলেশন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সকালে রোদের তীব্রতা প্রখর হওয়ার আগেই দরজায় জানালা বন্ধ করে দিতে হবে।
জানালা, দেয়াল ও ছাদে প্রলেপ ব্যবহার করা
সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার জন্য জানালায় হিট প্রটেকটিভ উইন্ডো ফিল্ম লাগানো যেতে পারে। উইন্ডো ফিল্ম হল রঙ্গিন স্টিকার এর মতো আবরণ যেটা জানালার কাচের উপরে বসানো হয়। এই আবরণ ৭৮% সৌর তাপ এবং ৯৯% ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট (UV) রশ্মি আটকে দিতে পারে। এভাবে ঘর উত্তপ্ত হওয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তবে উইন্ডো ফিল্ম না পাওয়া গেলে জানালার কাচেঁ সাদা রঙের কাগজ লাগিয়ে রাখা যেতে পারে। এতে কিছুটা হলেও তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এছাড়াও জানালায় যদি দুই স্তর বিশিষ্ট কাঁচ লাগানো যায় তাহলে সেটাও তাপ নিরোধক হিসেবে ভালো কাজ করবে। জানালার কাঁচ যত পুরু হবে তত বেশি তাপ রোধ করবে।
অন্যদিকে, ঘরের ছাদে ও দেয়ালে ইনসুলেশন করলে গরমকালে ঘর ঠান্ডা থাকে আবার শীতকালে ঘর গরম থাকে। এই ইনসুলেশন হলো এক ধরনের মোটা প্রলেপ যা কন্সট্রাকশন বা ইন্টেরিয়র নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের দ্বারা করে নিতে পারেন। কোন ধরনের ইনসুলেশন আপনার ঘরের জন্য উপযুক্ত হবে সেটা তারাই বলে দিতে পারবে।
জানালার উপরে ছাউনি নির্মাণ
জানালার ওপরে ছাউনি সূর্যের তাপ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। জানালার ওপরে বিশেষ করে পূর্ব ও পশ্চিম দিকের জানালায় সানসেড থাকলে তা রোদের তাপ ঘরে প্রবেশ করা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। সানসেড না থাকলে জানালার উপরে ছাউনি টানিয়ে ছাঁয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য মতে, জানালার উপরের ছাউনি সূর্যের তাপের প্রায় ৭৭% পর্যন্ত আটকে দেয়।
দেয়াল, মেঝে, আসবাবপত্র ব্যবস্থাপনা
ঘরের দেয়াল, মেঝে এবং আসবাবপত্রের রং যত গাঢ় হবে সূর্যের আলো তত বেশি শোষণ করে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। অপরদিকে হালকা রঙের আলোর শোষণ ক্ষমতা খুবই কম থাকে যার ফলে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ে না। তাই ঘরের দেয়াল, মেঝে ও আসবাবপত্রে হালকা রং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। চাইলে দেয়ালে তাপ নিরোধি পেইন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও মেঝে ঠান্ডা রাখার জন্য মার্বেল, স্যান্ডস্টোন বা গ্রানাইট এর টাইলস ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এতে খরচ একটু বেশি হবে কিন্তু ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করবে। খরচ বাড়াতে না চাইলে কাঠ, ভিনাইল প্ল্যাঙ্ক, সাদা রঙের সিরামিকের টাইলস বা পোরসেলিন টাইলস ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘর এবং আশেপাশের তাপমাত্রা অনেক কম থাকবে।
যাদের মাটির ঘর রয়েছে তারা নিয়মিত লেপে দিন। এতে ঘরের ঠান্ডা ভাব থাকবে। ঘরে যত বেশি হালকা রঙ ব্যবহার করবেন ঘরের তাপমাত্রা তত কম থাকবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঘরে আসবাবপত্র যত কম রাখা যায় ততই ভালো। আসবাবপত্র কম থাকলে ঘরের তাপমাত্রাও কিছুটা কম থাকে।
ছাদ ব্যবস্থাপনা
বাড়ির ছাদ যদি গাঢ় রঙের হয়, তবে তা সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে, ফলে ঘরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। তবে ছাদে যদি সাদা রঙ করা হয়—সে ছাদ টিনের হোক বা কংক্রিটের—তাহলে সূর্যের অধিকাংশ আলো প্রতিফলিত হয়, আর ঘর তুলনামূলকভাবে অনেক ঠান্ডা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাদা রঙ প্রায় ৮৫ শতাংশ আলো প্রতিফলিত করতে সক্ষম, যেখানে গাঢ় রঙ মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিফলন করে। ফলে সাদা রঙ করা ছাদবিশিষ্ট ঘর গাঢ় রঙের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ঠান্ডা থাকে।
অনেকেই বাড়ির ছাদ বা আশপাশে কংক্রিট পেভমেন্ট ব্লক ব্যবহার করেন, কিন্তু এগুলো প্রচুর তাপ ধরে রাখে, যার ফলে দিন-রাত দুই সময়েই পরিবেশ গরম থাকে। এ ক্ষেত্রে সাদা রঙের টাইলস একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। ছাদ ঠান্ডা রাখার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো ছাদে সবুজ বাগান করা অথবা ঘাস বিছিয়ে দেওয়া। তবে এ ধরনের ব্যবস্থার আগে ছাদটি পানি নিরোধক (ওয়াটারপ্রুফ) করা অত্যাবশ্যক। এছাড়া ছাদে ছাউনি বসানো বা সোলার প্যানেল স্থাপন করেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সিলিং ফ্যানের ব্যবহার
অনেক সময় মনে হতে পারে যে সিলিং ফ্যান ঘর ঠান্ডা করার বদলে আরও গরম করে দিচ্ছে। এর পেছনে একটি সাধারণ কারণ হতে পারে—ফ্যানের ঘোরার দিক সঠিক না হওয়া। যদি ফ্যানের পাখাগুলো ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে, তবে তা ছাদের গরম বাতাস নিচে নামিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়, ফলে ঘর গরম অনুভূত হয়। কিন্তু যদি ফ্যান ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরে, তাহলে তা উষ্ণ বাতাস উপরের দিকে ঠেলে দিয়ে ঘর তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা রাখে। তাই নিশ্চিত হয়ে নিন, ফ্যান সঠিক দিকে ঘুরছে কি না। পাশাপাশি, ফ্যান নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি—কারণ ধুলাবালি জমে থাকলে ফ্যান ঠিকভাবে বাতাস সরবরাহ করতে পারে না, ফলে ঘর ঠান্ডা হয় না।
ঠান্ডা বাতাস ব্যবস্থা করা
এয়ার কুলারের মতো ঠান্ডা বাতাস পেতে চাইলে একটি প্লেটে বড় আকারের বরফ রেখে সেটি টেবিল ফ্যানের সামনে রাখুন। চাইলে সিলিং ফ্যানের নিচেও রাখতে পারেন। বরফ থেকে বাষ্প হয়ে বের হওয়া ঠান্ডা বাতাস ফ্যানের মাধ্যমে চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, ফলে ঘর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠান্ডা হয়ে আসবে। বরফ না থাকলে বিকল্প হিসেবে ফ্যানের নিচে ঠান্ডা পানির একটি বালতি রাখলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিদিন ঘর ঝাড়ু দেওয়ার পর একাধিকবার বরফ ঠান্ডা পানিতে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘর মুছলে ঘর ঠান্ডা রাখতে তা বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতি।
এক্সস্ট ফ্যান ব্যবহার
ঘরের ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দিয়ে এবং বাইরের ঠান্ডা বাতাস ভেতরে প্রবেশ করিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখতে এক্সস্ট ফ্যান একটি কার্যকর উপায়। এটি সাধারণত দেয়ালের ওপরের অংশে লাগানো হয় এবং রান্নাঘর, টয়লেট কিংবা অন্যান্য ঘরে সহজেই ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে রান্নার সময় ফ্যানটি চালু রাখলে রান্নার গরম এবং বাষ্প সহজে বেরিয়ে যায়। এক্সস্ট ফ্যান সবচেয়ে ভালো কাজ করে তখনই, যখন ঘরের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা বাইরের তুলনায় বেশি থাকে।
বিছানা, তোশক ও বালিশ
গরমের সময় আরামদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের জন্য বিছানা, বালিশ ও তোশকে ১০০ শতাংশ পাতলা সুতির কাপড় ব্যবহার করাই সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ সিল্ক বা পলিয়েস্টার ধরনের কাপড় তাপ ধরে রাখে, যেখানে সুতির কাপড় শরীরকে শীতল রাখে। চাদরের ক্ষেত্রে হালকা রঙ, বিশেষ করে সাদা রঙের একরঙা চাদর ব্যবহার করলে ঘর তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকে, কারণ রঙিন ও নকশাদার চাদর তাপ বেশি শোষণ করে।
সাধারণত আমরা যে তুলার তোশক, জাজিম বা সোফার গদি ব্যবহার করি, সেগুলো শরীরের তাপ ধরে রাখে। তাই এর পরিবর্তে বাঁশ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক ফাইবার দিয়ে তৈরি তোশক, গদি কিংবা জাজিম ব্যবহার করা ভালো। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত বিছানা বা সোফার উপর পাতলা সুতির চাদর বিছিয়ে রাখলে কিছুটা হলেও তাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বালিশের ক্ষেত্রেও 'চিলো' নামের বিশেষ ধরনের বালিশ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যা গরমেও মাথা ঠান্ডা রাখে। এছাড়া বরফ ভর্তি পানির বোতল বিছানার পায়ের কাছে রাখলে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা অনুভব হয়, যদিও এতে বিছানা ভিজে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
যদি আপনি দোতলা বাড়িতে থাকেন, তাহলে লক্ষ করবেন নিচতলা সাধারণত উপরের তুলনায় ঠান্ডা থাকে। তাই মেঝেতে মাদুর, চাটাই বা শীতলপাটি বিছিয়ে ঘুমালে বিছানার চেয়েও বেশি স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।
বাতি পরিবর্তন
আপনি ঘরে কী ধরনের বাতি ব্যবহার করছেন, তা ঘরের তাপমাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। আগে বাংলাদেশে হলুদ আলোযুক্ত হ্যালোজেন বাতির ব্যবহার ছিল বেশি, যা অনেক তাপ উৎপন্ন করত। তবে গত দুই দশকে এলইডি লাইটের মতো বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী এবং কম তাপ উৎপন্নকারী বাতির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যদিও প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতি কিছু না কিছু তাপ ছড়ায়, তবে এলইডি বাতিতে তা তুলনামূলকভাবে খুবই কম। তাই যেসব বাতি ব্যবহার প্রয়োজন নয়, সেগুলো বন্ধ রাখলে ঘরের গরম কিছুটা কমানো সম্ভব।
রান্নায় সতর্কতা
বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার হ্রাস
গাছ লাগানো
যদি আপনার বাড়ির আঙিনায় খোলা জায়গা থাকে, তবে সেখানে ছায়া প্রদানকারী বড় গাছ লাগানো যেতে পারে। যদিও একটি গাছ বড় হতে সময় ও ধৈর্য লাগে, তবে একবার বড় হয়ে গেলে এটি অনেক উপকারে আসে। একটি পূর্ণবিকশিত ছায়াদানকারী গাছ প্রায় ৭০ শতাংশ সূর্যের আলো প্রতিরোধ করতে সক্ষম, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এজন্য এমন গাছ নির্বাচন করা জরুরি, যা শুধু ছায়া দেবে না, বরং ঘরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক হবে এবং বাতাসও বিশুদ্ধ রাখবে। এটি হতে পারে ফুলের গাছ, ফলের গাছ বা অন্য যেকোনো উপযোগী গাছ—নির্ভর করবে মাটি ও জায়গার উপর।
এছাড়া ঘরের ভেতরে গাছ থাকলে তা বাতাসে জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, যা ঘরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। ঘরের অভ্যন্তরে মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা বা অ্যারিকা পাম জাতীয় গাছ রাখা যেতে পারে। আর বাইরে ঘাসজাতীয় গাছ বা বাগানবিলাসের মতো গাছ লাগানোও পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার
আপনি যদি এসি ব্যবহার করতে না চান, তবে বিকল্প হিসেবে ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই যন্ত্রটি ঘরের ভেতরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যার ফলে গরম আরও বেশি অনুভূত হয় এবং অস্বস্তি বাড়ে। কিন্তু ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহারে এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করা সম্ভব, ফলে ঘর অনেকটাই ঠান্ডা ও আরামদায়ক মনে হয়।
শরীর ঠান্ডা রাখা
ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু পরিবেশ নয়, ঘরে বসবাসকারী মানুষের শরীরও ঠান্ডা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, সঙ্গে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। দিনে অন্তত এক থেকে দুইবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করা ভালো। এছাড়া সুতির তৈরি হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরা শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজনে শরীরে হালকা পানি ছিটিয়ে ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা অনুভব পাওয়া যেতে পারে।
এই ১৫টি উপায় অনুসরণ করলে হয়তো এসির মতো ঠান্ডা না হলেও আপনার ঘর আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক ও ঠান্ডা থাকবে—এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
T Time Trend এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url