বিএড কোর্স অ্যাসাইনমেন্ট একীভূত শিক্ষা

শিরোনাম

"শ্রেণিকক্ষে অটিজম শিশুকে নিয়ন্ত্রণের কৌশল।"

বিএড অ্যাসাইনমেন্ট একীভূত শিক্ষা

সূচিপত্র

  • ভূমিকা
  • অটিজম
  • অটিজমের প্রধান সমস্যাসমূহ
  • অটিজমের লক্ষণ
  • অটিজমের কারণ
  • অটিজম শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সমস্যাসমূহ
  • শ্রেণী কক্ষে অটিজম শিশুকে নিয়ন্ত্রণের কৌশল
  • উপসংহার
  • সহায়ক গ্রন্থাবলী

ভূমিকা

"অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সকল শিশু সাধারণ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে। ফলে এ ধরনের সকল শিশুরা নিজ পরিবার থেকে বাড়ির নিকটবর্তী বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে সাধারণ শিশুরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাথে মিশে মানুষের ভিন্নতা সম্পর্কে জানবে এবং ভিন্নতাকে মেনে নেয়ার শিক্ষা পাবে। ........ প্রতিবন্ধীতার কারণে কোন শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা যাবে না।"
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর্যুক্ত বক্তব্যে অটিজমসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা ও গুরুত্ব প্রদানের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে অটিজম হচ্ছে শিশুর এক ধরনের স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা (Neurodevelopmental Disorder), যার ফলে শিশুর স্বাভাবিক নিউরোলজিক্যাল বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কের স্নায়বিক বিকাশের সমস্যার কারণে মানুষের মধ্যে যে ধরনের প্রতিবন্ধীতা পরিলক্ষিত হয় তাদের একসাথে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধিতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত শিশুর মানসিক, বুদ্ধিগত, বিকাশগত এবং ইন্দ্রিয়গত ক্ষতিগ্রস্ততা ও প্রতিকূলের ভিন্নতা বিবেচনায় যে সকল ভাগে ভাগ করা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে প্রকটতর ও জটিলতর প্রতিবন্ধিতা হচ্ছে অটিজম যা সরাসরি স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও বিকাশের অস্বাভাবিকতার ফলে মানসিক বিকাশে জটিল সমস্যা তৈরি করে। এ কারণেই অটিজম আক্রান্ত শিশুকে একই বয়সী স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যের মনে হয়। অটিজম আক্রান্ত শিশুর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, বন্ধু তৈরি, ভাষার ব্যবহার, সূক্ষ্ম চিন্তন দক্ষতার প্রয়োগ এবং বিমূর্ত বিষয়ের ব্যাখ্যা তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা ও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।

অটিজমের কারণে পারিবারিক বা সামাজিক যোগাযোগ যেমন- কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ একটি নির্দিষ্ট ধারার হয়ে থাকে। অপরদিকে শিশুর মানসিক দক্ষতা ও ভাষার উপর দক্ষতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে। এ সকল সামষ্টিক বৈশিষ্ট্যের কারণে অটিজমকে এখন বলা হয় অটিজম স্পেকট্রাম বা এএসডি।

অটিজম

অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার হল শিশুদের স্নায়ুবিকাশ জনিত সমস্যা। বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অটিসম লক্ষ্য করা যায়। অটিজম স্পেকট্রামকে একটি রংধনুর সাথে তুলনা করা যায়। রংধনুতে যেমন অনেক রং থাকে তেমনি অটিজম স্পেকট্রামে তেমনি বিভিন্ন ধরনের অটিজম থাকে। অটিজম শিশুর স্নায়ুবিকাশের প্রতিবন্ধকতা যা জন্মের ১-৩ বছরের মধ্যে প্রকাশ পায়। অনেকের ক্ষেত্রে এর আগে থেকেও বোঝা যেতে পারে।

নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ এর ধারা ৪ এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসর্ডারস মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশের এইরূপ একটি জটিল প্রতিবন্ধকতা যাহা শিশুর জন্মের এক বৎসর ৬ মাস হইতে ৩ বৎসরের মধ্যে প্রকাশ পায়। এই ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাধারণত শারীরিক গঠনে কোন ত্রুটি বা সমস্যা থাকে না এবং তাদের চেহারা ও অবয়ব অন্যান্য সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের মতই হয়ে থাকে। ইহারা পরিবেশের সহিত যথাযথভাবে যোগাযোগ করিতে পারেনা। যেমন- ভাষার ব্যবহার রপ্ত করিতে না পারা, নিজের ভিতর গুটাইয়া থাকা ইত্যাদি তবে অনেক ক্ষেত্রে ছবি আঁকা, গান করা, কম্পিউটার চালানো বা গাণিতিক সমাধান সহ অনেক জটিল বিষয়ে এ ধরনের ব্যক্তিরা বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করিয়া থাকে।

অটিজমের প্রধান সমস্যা সমূহ

অটিজমের প্রধান সমস্যাগুলো হলো-

  • মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগ সমস্যা
  • ক্রিয়া ও কল্পনাযুক্ত খেলায় সমস্যা
  • স্বাভাবিক সামাজিক আচরণের সমস্যা

অন্যভাবে বলা যায় অটিজম বা Autism Spectrum Disorder হলেও শিশুদের স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা যেখানে-

  • শিশুদের সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে অসুবিধা
  • আশেপাশের পরিবেশ ও ব্যক্তির সাথে মৌখিক ও ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে যোগাযোগের সমস্যা
  • আচরণের পরিবর্তন দেখা যায়

বিএড অ্যাসাইনমেন্ট একীভূত শিক্ষা

লেখচিত্র: অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার

Autism শব্দটির Alphabetical বিশ্লেষণ

Autism শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে প্রতিটি বর্ণ দ্বারা এক একটি শব্দ পাওয়া যায়।

  • A= Always
  • U= Unique
  • T= Totally
  • I= Interesting
  • S= Sometimes
  • M= Mysterious

অটিজমের লক্ষণ

অটিজম কোন রোগ নয় বরং এটি একটি সমস্যা। সাধারণত শিশুর বয়স ৩ বছর হওয়ার আগেই অটিজমের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। অটিজম আক্রান্ত শিশুর কিছু লক্ষণ হলো-

  • তার নাম বা ডাকে সাড়া দেয় না।
  • সে কি চায় তা বলতে বা বোঝাতে পারে না।
  • কথা বলতে দেরি হয়।
  • কোন কিছু করতে বললে তা করে না।
  • কোন কোন সময় শুনতে পায় আবার কোন কোন সময় শুনতে পায় না বলে মনে হয়।
  • অন্যদের সঙ্গে হেসে খেলা করে না বা অন্যদের সঙ্গে খেলা করতে পারে না।
  • কেবল একা একা খেলতে পছন্দ করে।
  • একেবারে স্বাধীনভাবে নিজের কাজ নিজে করে।
  • কারো চোখের দিকে তাকায় না।
  • নিজেকে নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকে।
  • অন্যদের ব্যাপারে কোনই আগ্রহ থাকে না।
  • মাঝে মাঝে অতিরিক্ত রেগে যায়।
  • অস্বাভাবিক রকম চঞ্চল মনে হয়।
  • কোন বিশেষ কিছু নিয়ে প্রচণ্ড জেদ করে।
  • বারবার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিকভাবে ভাবে নাড়াচাড়া করে।
  • কোন বিশেষ খেলনার প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণ অনুভব করে।
  • বুড়ো আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে হাটে।
  • অটিস্টিক শিশুদের ঘুম সম্পর্কিত কিছু সমস্যা থাকে।
  • অনেক শিশুর সঠিক সময়ের কথা বলতে সমস্যা হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে নিম্নের কিছু সংকেত দেখে অটিজম হতে পারে সন্দেহ করা যায়।

  • ৬ মাস বয়সে যদি কোন শিশু ভালোভাবে আনন্দ প্রকাশ করতে না পারে।
  • ৯ মাস বয়সে যদি কোন শিশুর শব্দ বা ডাক শুনে যথাযথ সাড়া না দেয়।
  • ১২ মাস বয়সেও যদি কথা বলতে না পারে বা কোন রকম চাহিদা প্রকাশ করতে না পারে।
  • ১৬ মাস বয়সের মধ্যে যদি নিজস্ব কোন চাহিদা প্রকাশ করতে না পারে।
  • ২৪ মাস বয়সের মধ্যে যদি দুই শব্দের অর্থপূর্ণ বাক্য বলতে না পারে বা কথা বলা বন্ধ করে দেয়।

অটিজমের কারণ

অটিজম মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক শরীর বৃত্তীয় ও রসায়ন এর ফলে সৃষ্ট একটি সমস্যা। অটিজমের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এক কথায় বলতে গেলে অজানা কারণে অটিজম হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন পর্যায়ে অটিজমের যে জটিল লক্ষণ ও তীব্রতার প্রকরণ দেখা যায় তা থেকে বলা যায় একাধিক কারণে অটিজম হতে পারে। অটিজমের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও নিম্নের কিছু বিষয়কে অটিজমের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

  • বংশে কারো অটিজমের সমস্যা থাকা
  • মায়ের গর্ভকালীন সংক্রমণ (রুবেলা, মিমেলস, মাম্পস)
  • গর্ভকালীন পিতা-মাতার বয়স (দুইজনের বয়সের যোগফল ৮০ এর বেশি হলে)
  • কম ওজনের জন্ম নেয়া শিশু
  • সীসার বিষক্রিয়া
  • প্রসবকালীন জটিলতা
  • মা ও শিশুর অপুষ্টিজনিত সমস্যা

অটিজম শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সমস্যাসমূহ

অটিজম শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শ্রেণিকক্ষে অটিজম শিক্ষার্থীদের শিখনে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা নিম্নরূপঃ

  • প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্বল্পতা
  • শ্রেণী উপযোগী শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা উপকরণের স্বল্পতা
  • অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাযুক্ত বিদ্যালয়
  • সকল শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব
  • শ্রেণিকক্ষে বিষয়বস্তু উপযোগী উপকরণের অভাব
  • অন্য শিক্ষার্থীরা অটিজম শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা
  • অটিজম শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত বুলিং এর শিকার হওয়া
  • একই ক্লাসে অধিক শিক্ষার্থীর পাঠ দান করানো

শ্রেণিকক্ষে অটিজম শিশুকে নিয়ন্ত্রণের কৌশল

শিক্ষা প্রতিটি শিশুর জন্মগত মৌলিক অধিকার। সকল শিশুর জন্য মূলধারার মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি অটিজম/ প্রতিবন্ধী/ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি শ্রেণী শিক্ষকদের অটিজম শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু বিষয় লক্ষণীয় ও করণীয় রয়েছে। নিম্নে শ্রেণিকক্ষে অটিজম শিশুকে নিয়ন্ত্রণের কিছু কৌশল বা করণীয় উল্লেখ করা হলো-

  • শিক্ষককে ধৈর্যশীল ও আন্তরিক হতে হবে।
  • শিক্ষককে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।
  • শ্রেণিকক্ষে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
  • শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে পাঠ সংশ্লিষ্ট ছবি, সংকেত বা অন্যান্য উপকরণ লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • অটিজম শিক্ষার্থীদের প্রথম সারিতে বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • পাঠ উপস্থাপনে উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
  • শিক্ষক শ্রেণীকক্ষের এমন স্থানে দাঁড়াবেন যেন সকল শিক্ষার্থী বাধাহীন ভাবে দেখতে পায়।
  • শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দিকে সরাসরি মুখ করে দাঁড়াবেন।
  • শ্রেণিকক্ষে সহজ, সরল, সাবলীল ভাষায় পাঠদান করানো।
  • কথার পুনরাবৃত্তি করা।
  • সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম অধিক হারে চালানো।
  • শ্রেণিকক্ষটি নিচতলায় রাখা।
  • অন্য সহপাঠীরা যেন তাদের বন্ধু মনে করে সেজন্য সহপাঠীদের মোটিভেশন করা।
  • শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ও কর্মভিত্তিক পাঠদান।
  • পাঠদানের সময় শারীরিক অঙ্গভঙ্গির ব্যবহার।
  • কৃতকার্যদের জন্য প্রশংসা সূচক বাক্য ব্যবহার।
  • কোন বিষয়ে একবারে বুঝতে না পারলে বারবার বুঝিয়ে দেয়া।
  • শিক্ষার্থীদের দলে বিভক্ত করে দলীয় কাজ করানো।
  • চাইল্ড সাইকোলজিস্ট এর মাধ্যমে নিয়মিত কাউন্সিলিং করানো।

উপসংহার

অটিজমের যেহেতু কোন নিরাময় নেই, তাই সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করতে হবে। পরিবারের কারো অটিজম অথবা কোন মানসিক এবং আচরণগত সমস্যা থাকলে পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রে অটিজমের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কোন শিশু অটিজমে আক্রান্ত মনে হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।প্রাথমিক অবস্থায় অটিজম নির্ণয় করতে পারলে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অটিজমের ক্ষতিকারক প্রক্রিয়াগুলো অনেকাংশে সফলভাবে মোকাবেলা করা যায়।

বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সঠিক স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রয়োজনে সঠিক ঔষধের ব্যবহার একটি শিশুর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকখানি সহায়ক হয়। যথাযথ সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অটিস্টিক শিশুদের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে শিক্ষা ক্ষেত্রে অটিস্টিক শিশুদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে।

সহায়ক গ্রন্থাবলী

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

T Time Trend এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url